Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কী সেবা কীভাবে পাবেন

প্রশিক্ষণ নিয়মাবলী

 

১। ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ ও মহিলা) এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামপ্রতিরক্ষা দলের সদস্য/সদস্যাগণ ভিডিপি সংগঠন সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন এবং ভিডিপি প্লাটুনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন। প্রশিক্ষণের নিয়মাবলী নিম্নরুপঃ

 

ক) সংশ্লিষ্ট গ্রামের নিধারিত কোটায় পুরুষ ও মহিলা সমন্বয় গঠিত দুটি প্লাটুনকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

খ) গ্রামের সুবিধাজনক স্থানে ২১ (একুশ) দিনের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

গ) একটি জেলা সদরে একবার এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

ঘ) প্রশিক্ষণার্থীকে সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণী পাশ হতে হয়, এসএসসি অগ্রধিকার।

ঙ) প্রশিক্ষণার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে।

চ) প্রশিক্ষণকালীণ প্রশিক্ষণার্থীদের বিনামূল্যে থাকা,খাওয়া,পোষাক-পরিচ্ছেদ প্রদান করা হয়।

ছ) এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনের জন্য কোন সদস্যকে কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না।

জ) প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র প্রদান করা হয়।

ঝ) জেলা কমান্ড্যান্ট আর্থিক বছর শুরুর আগেই উপজেলা কর্মকর্তার সুপারিশ মোতাবেক নিধারিত কোটা অনুযায়ী সদস্য-সদস্যা বাছাই করেন

ঞ) এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামের ভিডিপি পুরুষ ও মহিলা প্লাটুনসমুহ পুন গঠিত হয়।

ট) প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী সদস্য সদস্যাগণ ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে নির্ধারিত ১০% কোটায় আবেদন করার সুযোগ পান।

 

২। সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ ও মহিলা)

 

            এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে সদস্য/সদস্যাগণ সাধারণ আনসার হিসেবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন এবং অংগীভুত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। এই প্রশিক্ষণের নিয়মাবলী নিম্নরুপঃ

 

ক) জেলা সদরে প্রাথমিক পর্ব এবং ধারাবাহিকভাবে আনসার-ভিডিপি একাডেমী,সফিপুর,গাজীপুরে চুড়ান্ত পর্বে এই প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।

খ) জেলা কমান্ড্যান্ট নিধারিত কোটায় সদস্য/সদস্যা বাছাই করেন।

গ) অযোগ্য সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না।

ঘ) আনসার আইন ১৯৯৫ এবং আনসার বাহিনী প্রবিধানমালা ১৯৯৬ এর আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিম্নরুপ যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হয়। বয়স

 ১৮ হতে ৩০ বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাশ। তবে এএসসি বা তদুর্দ্ধ পাশদের প্রশিক্ষণ গ্রহণে অগ্রাধিকার দেয়া হয়

ঙ) উচ্চতাঃ

(অ) সর্বনিম্ন ১৬০ সেঃ মিঃ অর্থাৎ ৫‘-৪’’(পুরুষের ক্ষেত্রে) অগ্রাধিকার-৫‘-৬’’ (আ) সর্বনিম্ন ১৫০ সেঃ মিঃ অর্থাৎ ৫‘-০’’(মহিলার ক্ষেত্রে)

(ই) বুকের মাপঃ ৭৫ সেঃ মিঃ হতে ৮০ সেঃ মিঃ অর্থাৎ ৩০’’-৩২’’ (পুরুষের ক্ষেত্রে)।

(ঈ) দৃষ্টি শক্তিঃ ৬/৬

(ক) সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সময় শিক্ষাগতযোগ্যতার সনদ, চারিত্রিক,নাগরিকত্ব সাটিফিকেট,জন্মনিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড  দাখিল করতে হয় এবং রক্তের গুরুপ প্রয়োজন হয়।

খ) এই প্রশিক্ষণে সাফল্যজনকভাবে সমাপ্তির পর দেশে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কেপিআই/ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় অংগীভুত হয়ে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করে।

(গ) প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী সদস্য/সদস্যাগণ দুর্গাপূজা,জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইত্যাদি দায়িত্ব পালনের জন্য স্বল্পকালীন সময়ের জন্য অংগীভুত হয়ে থাকে।

৩। পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণঃ

 মৌলিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন আনসার-ভিডিপি সদস্য/সদস্যা স্বনির্ভর হবার সুযোগ পায়। আনসার - ভিডিপি সংগঠন প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যেমনঃ-

(ক) মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ (সাধারণ আনসার এবং ভিডিপি পুরুষ)।

(খ) কম্পিউটার বেসিক কোর্স (ব্যাটালিয়ন আনসার,সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য/সদস্যা)।

(গ) ইলেকট্রিশিয়ান কোর্স (ভিডিপি সদস্য/ব্যাটালিয়ন আনসার/সাধারণ আনসার)।

(ঘ) নকশী কাঁথা কোর্স ((ভিডিপি সদস্যা)।

(ঙ) ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালন প্রশিক্ষণ (ভিডিপি সদস্যা)।

(চ) উন্নত প্রযুক্তিতে আলু চাষ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার শীর্ষক প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ) ।

(ছ) ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ (ভিডিপি সদস্য)।

(জ) গবাদী পশুপালন কোর্স (ভিডিপি সদস্য)।

(ঝ) হাঁস-মুরগী চিকিৎসা ও পালন কোর্স (ভিডিপি সদস্য)।

(ঞ) ফ্রিজ ও এয়ারকন্ডিশনার মেরামত কোর্স( ভিডিপি সদস্য/ সাধারণ আনসার)।

(ট) অমৌসুমী সবজি চাষ প্রশিক্ষণঃ- (আনসার ভিডিপি সদস্য-সদস্যা)।

(ঠ) উন্নত প্রযুক্তিতে নার্সারী স্থাপন প্রশিক্ষণ (আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যা)।

(ড়) আধুনিক ফল চাষ প্রশিক্ষণ( আনসার ও ভিডিপি সদস্য)।

(ঢ) সেলাই ও ফ্যাশন ডিজাইন কারিগরি প্রশিক্ষণ (ভিডিপি সদস্য-সদস্যা)।

 

সাধারণ আনসার অংগীভুতির নিয়মাবলীঃ-

 

৪। আনসার সদস্যের জন্য।

 যে কোন সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান/ সংস্থার চাহিদা বিবেচনা করে তাদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পদগুলো অনুসরণ করে আনসার অংগীভুত করে দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়।

ক) সদর দপ্তর আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনী সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি কর্তৃক পূর্ণ নিধারিত তারিখে আনসার বাছাই করে ভবিষ্যতে অংগীভুত করার জন্য প্যানেল প্রস্ত্তুত করা হয়। ব্যক্তিগত তথ্য ফরম পুরন করতে হয়।

খ) বর্তমান তিন বছরের জন্য সংস্থায় আনসার অংগীভুত করা হয় অর্থ্যাৎ একজন আনসার অংগীভুতির মেয়াদ একনাগারে তিন বছর।

গ) অংগীভুতিরকাল সমাপ্তির পর পর সন্তোষজনক কোন আনসার পূনরায় অংগীভুত হতে পারে।

ঘ) এক জেলার আনসার সদস্য অন্য যে কোন তিনটি ইচ্ছুক জেলায় অংগীভুত হতে পারবেন।

ঙ) সদর দপ্তর (কেপিআই) প্যানেল অনুমোদন করে প্যানেল আনসার তালিকা জেলায় পাঠায় সে ক্ষেত্রে অংগীভুতির জেলার নাম তালিকায় থাকে

চ) আনসার সদস্যদের অংগীভুতির জন্য ফায়ারিং অভিজ্ঞতাসহ ৪২ দিনের মৌলিক প্রশিক্ষ প্রাপ্ত হতে হয়।

ছ) অংগীভুত হওয়ার জন্য প্যানেলভুক্তির নিমিত্তে নিম্নলিখিত যোগ্যতা প্রয়োজন হয়ঃ

(ক) বসয় ১৮ হতে ৫০ বছর। (খ) শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ অষ্টোম শ্রেণী পাস তদুর্দ্ধদের অগ্রাধিকার দেযা হয়।

গ) উচচতাঃ  ৫’’-৪’’(পুরুষের), ৫’’-২’’ (মহিলা) অধিক উচ্চতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাদিকার দেয়া হয়।

ঘ) বৈবাহিক অবস্থাঃ- বিবাহিত/অবিবাহিত উভয়ই।

ঙ) ইউনিয়ন চেয়ারম্যান/ওযার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক ও নাগরিকত্ব সনদপত্র শিক্ষাগতযোগ্যতার সত্যায় কপি,সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষিনের সনদ,পুলিশ ভেরিফেকিশন রিপোর্ট রক্তের গুপ,স্বাস্থ্যগত ফিটনেস সাটিফিকেট ষ্ট্যাম্প সাইজের ছবি ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।

ট) সাধারণত বছরের শুরুতে এবং মাঝামাঝি সময় অংগীভুতির প্যানেল প্রস্ত্তুত করা হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ প্যানের করা হয়।

ঠ) পিসি/এপিসি দৈনিক ২৫০/৩৯পযসা হিসাবে ৩০ দিনে ৭৫১১/৭০,আনসার দৈনিক ২৩৪/১২ টাকা হিসাবে ৩০ দিনে ৭০২০/- টাকা বেতন ভাতা হিসাবে প্রাপ্য হন। এছাড়া পিসি/এপিসি ৫৫৯৫/-টাকা হিসাবে ২টি এবং আনসার ৫১০৩/৬০ পয়সা হিসাবে ২টি উৎসব ভাতা প্রাপ্ত হন।

ঢ) প্রত্যেক অংগীভুত আনসার সরকারী নির্ধারিত হারে ২৮ কেজি চাউল এবং ২৮ কেজি গম এবং ০২লিটার ভোজ্যতৈল ভুর্তকি মুল্যে প্রাপ্য হন।

ছ) অংগীভুত হয়ে দায়িত্ব পালনকালে দুর্রঘটনা জনিত কারণে আনসার সদস্যগণ বিভাগীয় কল্যাণ তহবিল হতে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ আর্থিক সহায়তা লাভ করেন।

জ) কন্যা বিবাহ, মেধাবী সন্তানদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য আনসার সদস্যগন আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত হন।

ঝ) কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য বিশেষ সম্মাননা পদক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়

৫।  নিরাপত্তা সেবা প্রত্যাশি সংস্থার জন্য।

নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে কোন প্রত্যাশী সংস্থা আনসার অংগীভুত করতে পারেন।

(ক) আবেদনঃ কোন প্রত্যাশী সংস্থা জেলা কমান্ড্যান্ট দপ্তরে রক্ষিত নিদিষ্ট আবেদন ছক পূরণ করে তাঁদের দাপ্তরিক লেটার হেড প্যাডের সাথে সংযুক্ত করে জেলা কমান্ড্যান্ট দপ্তরে আনসার অংগীভুতির অনুরোধ পত্র দাখিল করবেন। জেলা কমান্ড্যান্ট এর দপ্তরের অনুমোদনক্রমে আনসার অংগীভুত করা হয়।

খ) বিভাগীয় পরিদর্শনঃ আনসার প্রত্যাশী সংস্থা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আবেদন ফরমে উল্লেখিত তথ্যসমুহের সঠিকতা যাচাইকরে ও প্রস্তাবিত স্থানে আনসার অংগীভুত করা যাবে কিনা এ মর্মে সংশ্লিষ্ট আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা পরিদর্শনপূর্বক জেলা কমান্ড্যান্ট এর বরাবর রিপোর্ট দাখিল করবেন। সশস্ত্র আনসার নিয়োগ করতে হলে জেলা কমান্ড্যান্ট সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ পরিচালক এর মাধ্যমে সদর দপ্তরের অনুমোদন নিবেন। প্রস্তাবিত স্থানে আনসার বসবাসের এবং অস্ত্র গুলির নিরাপত্তা আছে কিনা সে বিষয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট নিশ্চিত হবেন। স্থাপনা বিরোধপূর্ণ আনসার অংগীভুত করা যায় না

(গ) পুলিশ কর্তৃপক্ষের মতামত গ্রহণঃ প্রত্যাশী সংস্থায় আনসার মোতায়েন করা যাবে কিনা এ বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নির্ধারিত ফরমে ছাড়পত্র /অনুমোদন গ্রহণ করা হয়।

(ঘ) আনসার অংগীভুতকরণের সিদ্ধান্তঃ যাবতীয় শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের সন্তোষজনক মতামত পাওয়া পর সদর দপ্তর এর অনুমোদন ক্রমে জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার অংগীভুত করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

(ঙ) সংস্থা হতে বেতন ভাতাদি গ্রহণ ও পরিশোধঃ কোন সংস্থা আনসার অংগীভুত করণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবার পর উক্ত সংস্থা নির্ধারিত হারে আনসারদের তিন মাসের বেতন-ভাতার সমপরিমান অর্থ অগ্রীম হিসাব নগদ পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে জেলা কমান্ড্যান্ট এর দপ্তরে জমা করতে হয়। এছাড়া মাসিক নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হয়। প্রতি বছর নির্ধারিত হারে দুটি উৎসব বোনাস অংগীভুত আনসারদেরকে প্রদান করতে হয়।

(চ) ১০%  আনুষঙ্গিক অর্থঃ আনসার প্রত্যাশী সংস্থা প্রত্যেক অংগীভুত আনসার সদস্যের দৈনিক ভাতার ১০% আনুষঙ্গিক অর্থ হিসাব জেলা কমান্ড্যান্ট নিকট প্রদান করবেন।

(ছ) অংগীভুতির মেয়াদকালঃ প্রত্যাশী সংস্থা কমপক্ষে তিন বৎসরের জন্য আনসার নিয়োগ করবেন। সশস্ত্র হলে কমপক্ষে ১০ জন এবং নিচে অস্ত্র ছাড়া হলে ৪ জন আনসার অংগীভুত করা হয়।